Poem Discussion

খড়িমাটি এবং চার তরুণের কাব্যাভিযান
শাহিনুর শায়লা ও আলি রেজা

(৯ নবেম্বর ২০০৭, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, দৈনিক পূর্বকোণ। বিভাগীয় সম্পাদক- কবি এজাজ ইউসুফী।)
চট্টগ্রামে লিটল ম্যাগাজিন নামধারী বহু কাগজ বের হয়েছে এবং হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ মধ্যাহ্ন, ঋতপত্র, পরানকথা, ঘুড়ি, ঢেউ, ফলক, পরমায়ু, বেহুলাবাংলা, পুষ্পকরথ, আড্ডারু, জোড়াসাঁকো ইত্যাদির নাম উল্লেখ করা যায়। ‘নামধারী’ শব্দটা যোগ করেছি এই জন্যে যে, এগুলো কোনো দর্শন ধারণ করেনি। কেবল কিছু প্রবন্ধ (নিবন্ধ), গল্প ও কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছে এবং হচ্ছে। কোনোকোনোটাতে আবার কাগজ ও বই আলোচনার নামে তোষামোদ ছাপা হয়েছে এবং হচ্ছে। স্মর্তব্য কোনো দর্শন থাকছে না। কিন্তু লিটল ম্যাগাজিনকে হতে হয় চারিত্র্যসমন্বিত, দর্শনবান। নামধারী লিটল ম্যাগাজিনের কাতারে ‘লিরিক’ ও সমুজ্জ্বল সুবাতাসকে রাখা যায় না। মনিরুল মনির সম্পাদিত খড়িমাটি নামধারী লিটল ম্যাগাজিনের শ্রেণিভুক্ত। এ-জাতীয় লিটল ম্যাগাজিন ও দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতার মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কাগজটির জুন ২০০৭ সংখ্যায় শামসুর রাহমান, মীজানুর রহমান ও বিনয় মজুমদারকে নিয়ে যে ক’টা গদ্য রয়েছে, সেগুলো স্মরণমূলক, দৈনিক পত্রিকার দর্শনানুযায়ী। কিছু অনূদিত কবিতা রয়েছে, যেগুলো আজকাল দৈনিক পত্রিকাগুলো হরদম ছাপছে। আকারসর্বস্ব তথা নামধারী লিটল ম্যাগাজিনের মতো এ সংখ্যায় রয়েছে ক’টা গদ্য, গুচ্ছ কবিতা (অকবিতা), কাগজ-বই আলোচনা। লিটল ম্যাগাজিন বলে যে-সব কাগজের (অজ্ঞতাপ্রসূত বা ব্যক্তিরোষ জাহির করা) আলোচনা ছাপা হয়েছে, সেসবের একটাও লিটল ম্যাগাজিন নয়। সবগুলোই বালখিল্যতা। যেগুলোতে সম্পাদকের লেখা রয়েছে, কেবল সেগুলোর (বেশিরভাগের মধ্যে রয়েছে) আলোচনাই ছাপা হয়েছে। এমন কিছু লেখা দেখলাম, যেগুলো খোদ চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ ও আজাদীও ছাপবে না, কবিতামূল্য দিয়ে ছাপনো হয়েছে। হ্যাঁ, লিটল ম্যাগাজিন তরুণদের তুলে আনে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, তরুণদের অকবিতা ছাপিয়ে দেওয়া হবে। দেখা গেলো, কোনো তরুণের তিনটি লেখার মধ্যে একটি (মানসম্মত/ মোটামুটি মানসম্মত) কবিতা রয়েছে। সম্পাদক কেবল কবিতাটি ছাপতে পারতেন। সম্পাদক তা করেননি, যা পেয়েছেন তা-ই ছেপেছেন। সম্পাদকত্বহীন সম্পাদকরাই এসব করেন। কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর লালসালুর ‘শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি, ধর্মের চেয়ে টুপি বেশি’ চুম্বককথাটি এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। ঐ যে দুটি পত্রিকার নাম উল্লেখ করলাম, এগুলো সত্যিকার সাহিত্য করার এজেন্ডা নিয়ে নামেনি। (সত্যিকার সাহিত্য করার সুযোগ এগুলোর নেই) তবু মানসম্মত কবিতা ছাপছে। তাহলে লিটল ম্যাগাজিনের কাজ কী? সম্পাদক কবিতার নামে যে আগাছাতুল্য লেখা ছাপিয়েছেন, তা চারজন তরুণের কবিতার পাঠানুভূতি প্রকাশ করার সময় পরোক্ষভাবে দেখানো হবে।

২.
খড়িমাটির এই সংখ্যার উল্লেখযোগ্য গদ্যকাররা হলেন হেনরী স্বপন, সৈকত দে, তুহিন দাস ও মানস সান্যাল। উল্লেখযোগ্য কবিরা হলেন শাহিদ আনোয়ার, হাফিজ রশিদ খান, আবদেল মাননান, রুদ্র অনির্বাণ, সবুজ তাপস, কাজী নাসির মামুন, তুষার কবির, মাদল হাসান, ফেরদৌস মাহমুদ, নিতুপূর্ণা, গৌতম কৈরী, পিয়াস মজিদ, অরূপ কিষাণ, কামাল মুহাম্মদ, স্রূপ সুপান্থ, লায়লা ফেরদৌস ইতু, কাজী জিন্নুর, সজল ছত্রী প্রমুখ। মলয় রায়চৌধুরীর ‘কবিতার কাজ, কাজের কবিতা’ শিরোনামের একটি মুক্তগদ্য ছাপা হয়েছে। পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে উৎপল ভট্টাচার্য সম্পাদিত কবিতীর্থর সেপ্টেম্বর ১৯৮৯, ১৮ তম সংখ্যা থেকে। এক্ষেত্রে সম্পাদকের মুসাবিধা উল্লেখ্য: ‘আমরা নতুন অসঙ্গতি কিংবা গদ্যের নামে আবর্জনা না বাড়িয়ে পুরানো অথচ মজবুত কথার পুনর্পাঠে বিশ্বাসী, যা সুদূরগামী কবিতার কাছে নিয়ে যাবে।’ মলয় রায়চৌধুরীর দৃষ্টিতে, কাজের কাজ বা ফাংশনাল হয়ে ওঠাটাই হল একটা কবিতার সদগুণ। এ-জাতীয় কবিতা সামাজিক দায়বোধ থেকে রচিত হয়। ব্যাপারটা না বুঝে বেশিরভাগ সম্পাদক বাজে রকম ফন্দি আঁটেন। তাঁর মতে, যা সমাজের কাজে আসে না, তা টনক নড়াতে পারে না। আর যা টনক নড়াতে পারে না, তা কবিতা না হয়ে অন্যকিছু হোক। গদ্যটি খুবই ভাব্য। তবে ‘শিল্পের জন্য শিল্প’ তত্ত্ব দিয়ে একে তুলোধুনো করা যায়। সম্পাদক মুসাবিধায় উল্লেখ করেছেন, মলয় রায়চৌধুরীর এই গদ্যে সমকালীন কবি ও কবিতার নানা অনুষঙ্গ রয়েছে। কিন্তু আমরা এতে এমন কিছ খুঁজে পাইনি। এটাকে সম্পাদকের মূর্খতা বলব। না পড়ে নোট দেওয়া উচিত হয়নি।
৩.
এবার চারজন তরুণের কবিতার পাঠানুভূতি প্রকাশ করবো। এতে পরোক্ষভাবে সম্পাদকের খামখেয়ালিপনা তুলে ধরব। তরুণরা হলেন সবুজ তাপস, নিতুপূর্ণা, ফেরদৌস মাহমুদ ও অরূপ কিষাণ।
কোনো একটা কিছুকে অবলম্বন করে বা কোনো কিছুকে পাওয়ার আশায় মানুষ বেঁচে থাকতে চায়। যার কোনো চাওয়া নেই, সে মানুষ নয়, দেবতাও নয়, ঈশ্বরও নয়। অভাবের ভেতরেই চাওয়ার ব্যাপারটা নিহিত। ঈশ্বরের অভাব (যদিও বলা হয়, ঈশ্বর অভাবমুক্ত) হল মানুষের পূজা বা আরাধনা প্রাপ্তি। শূন্য দশকের অন্যতম আলোচিত কবি সবুজ তাপস ‘দোটানা ও টানা’ কবিতার ‘দোটানা‘ অংশে সাবলীল ভাষায় চিত্তাকর্ষী পরিস্থিতি দাঁড় করে তার বেঁচে থাকার কারণ তুলে ধরেছেন। যখন তিনি দেখতে পান হানাহানিপূর্ণ কাজকারবার, বৈষয়িক-সাংসারিক দরকষাকষি, মানুষের চালাকিপূর্ণ আচরণ, আত্মহত্যা করবার ইচ্ছা পোষণ করেন, ঠিক তখনই রাস্তায় বের হয়ে যদি কোনো সুন্দর-সোমত্ত নারীর দর্শন পান, ভাবেন বেঁচে থাকা জরুরি। অর্থাৎ জৈবনিক জটিলতা তাকে আত্মহত্যাপ্রবণ করে তোলে এবং পাশাপাশি সোমত্ত নারীর সৌন্দর্য করে তোলে বাঁচনপ্রিয়। কবি এখানে ‘দোটানা’ দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন, তার মধ্যে আত্মহত্যা ও বেঁচে থাকার মতোন দু’বৈপরিত্যের দ্বন্ধ চলছে এবং বরাবরই বেঁচে থাকছেন। এই অংশে ‘জৈবনিক জটিলতা’ ও ভাবের ভাইব্রেশন’ এর মতোন, তার নিজস্ব, আনুপ্রাসিক ব্যবহার রয়েছে। ‘টানা’ অংশ খুবই হৃদয়স্পর্শী।

আমাকে দু’হাতে টেনে নাও
বুকের ভেতর,
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ফার্নিচার হাতে
যেমন টেনে নাও
চোখের তলে
কাজলের নৌকোচাঁদ।

পাঠক এমন সহজ-সরল ভাষার আবেদনময় কবিতাই চান। ‘কাজলের নৌকোচাঁদ’ দৃশ্যকাব্যময় ও শিল্পসম্মত। যেকোনো পাঠক বলতে বাধ্য হবেন, ‘দোটানা ও টানা’ পুরোটাই নতুন কথার কাব্যানুষঙ্গ।

‘স্বীকারোক্তি’ কবিতার শ্রুতিসুন্দর পঙক্তি-

পাশে ডিসিহিল আর আশীষ সেন: সবকিছু ভুয়া
সত্য কেবল অরুণ দাশগুপ্ত,
জ্যোতির্ময়, জ্যোতির্ময়।

আর গতিসম্পন্ন পঙক্তি-

তোমরাও দেখ, নন্দন কানন-জামাল খাঁ আর মোমিন রোড দৌড়ে এসে একসাথে ঢুকে পড়ে চোখে, মুখের ভেতর

এই কবিতায় কবি কর্ণফুলির মতোন কতকগুলো অনুষঙ্গ তুলে ধরে বলেছেন, তিনি কোন কবি নন, কবি হল অনুষঙ্গগুলোই। এগুলো তার হাত-পা দখলে রেখে কবিতা লিখে নেয়। এটা এক ধরনের আবেগের কথা। কবিতাতো আবেগের হাত ধরে হাঁটে। অনুষঙ্গগুলোকে যদি প্রকৃতি বা পবিবেশ হিসেবে ধরি, তবে বলা যায় এখানে সবুজ তাপস নিজেকে প্রকৃতির কলম হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি হয়তো বুঝিয়েছেন, কর্ণফুলিরা তাকে প্রলুব্ধ করলে কাগজ-কলম টানেন এবং কবিতা লেখা হয়। তো এর ক্রেডিট কর্ণফুলিদেরই। কেননা তারা তাকে প্রলুব্ধ না করলে কবিতার জন্ম হতো না। অর্থাৎ যা ভাব জাগায় তা-ই আসল। এ-জাতীয় কাব্যদর্শন কারো কারো মনপূত না হলেও নতুন কিছু। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য যে, এই কবিতায় যতি চিহ্নের ব্যবহার উপযুক্তভাবে নেই। যেমন, ‘জ্যোতির্ময়, জ্যোতির্ময়’-এর পর ‘।’ (দাঁড়ি) চিহ্ন থাকার কথা, কিন্তু ‘!’ (আশ্চর্যবোধক) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। একটু আগে উল্লেখ করেছি, কবিতা আবেগের হাত ধরে হাঁটে। এর অর্থ এই নয় যে, এই আবেগের কোনো ৗেক্তিকতা থাকবে না। কবিতায় থাকবে কবির যৌক্তিক আবেগ। এই আবেগ রিয়েলিস্টিক।...
(উল্লেখ্য, অংশটি মনিরুল মনির সম্পাদিত ‘খড়িমাটি’র জুন ২০০৭ সংখ্যার পর্যালোচনা থেকে সংকলিত। এই পর্যালোচনায় সবুজ তাপসের কবিতার সাথে নিতুপূর্ণা, ফেরদৌস মাহমুদ ও অরূপ কিষাণের কবিতাও আলোচিত হয়েছে।)



কালধারা: শূন্যদশক, আমাদের তৃতীয় চোখ চার তরুণের কবিতায়
শাহিনুর শায়লা ও সুমন হায়াৎ

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, দৈনিক পূর্বকোণ। বিভাগীয় সম্পাদক- কবি এজাজ ইউসুফী।
শূন্য দশকের অন্যতম প্রধান আলোচিত তরুণ কবি সবুজ তাপসের কবিতা সরল এবং গভীরবোধবহ। উল্লেখিত কবিতাদুটো (‘উৎসর্গ: ময়ুখ চৌধুরী’ ও ‘সামুদ্র সংলাপ’) পড়লেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। কালধারায় প্রকাশিত তার ‘উৎসর্গ: ময়ুখ চৌধুরী’ কবিতার মূল কথা: মানুষের স্বভাব এমনই, সে বিভিন্ন উপায়ে অপরের কাছে যাবে এবং অপরকে বুঝাতে চা’বে। এর অর্থ- সে অপরকে বোকা মনে করে। অপরকে বোকা মনে করার এই যে-দর্শন, ইতোপূর্বের কোনো কবিতায় পরিলক্ষিত হয় না। কবিতাটির শিরোনামও ব্যতিক্রান্ত। কবিতার শিরোনামও যে এই রকম হতে পারে, তা সবুজ তাপসের কাছে শিখতে পেরেছি। প্রশ্ন হতে পারে, কেনো এই শিরোনাম। অনুমান করতে পারি, এই কবিতায় তিনি কবি ময়ুখ চৌধুরীর আচরণ মাথায় রেখে মানুষের শাশ্বত স্বভাব তুলে ধরতে গেছেন। এই কবিতার ‘বিচিত্র চিত্র’, ‘কথার খই’, ‘ঈশ্বরের বাড়ি’, ‘বে-আন্দাজ কাজ’, ‘ভাবনার বৃষ্টিপাত’, ‘তর্ক-বিতর্কের ধোঁয়া’, ‘কথার কাঁথা’ ও ‘সবুজ অবুঝ’ খুবই দৃশ্যমান শব্দবন্ধ। এগুলোর কোনোকোনোটিতে আনুপ্রাসিক বুনন পরিলক্ষিত। এই যে আনুপ্রাসিক বুনন ও দৃশ্যময়তা, কবিতাটিকে ঝকঝকে করেছে। তৃতীয় চোখ এ প্রকাশিত তার ‘সামুদ্র সংলাপ’ কবিতাটি শ্রুতিসুখকরও। সমুদ্র দেখে আসতে তাকে কেউ একজন (হয়তো বন্ধু) সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। তিনি এতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তাকে জানালেন, নারীর প্রতারণায় তার কবি হয়ে ওঠা। সমুদ্র দেখতে গেলে যদি সমুদ্রও তাকে প্রতারিত করে, অগস্ত্যযাত্রার পথ রচিত হতে পারে। সমুদ্র তার সাথে প্রতারণা করতে পারে। কারণ তিনি দেখান, নারীর মতো এটিও খোঁজে চাঁদের হাসি, অমাবস্যার দাসী এবং ভাসায়-ডোবায়। বলতে পারি, আর প্রতারিত হতে না চাওয়ার মানসিকতা থেকেই তার এই অসম্মতি প্রকাশ। আবার যদি নারীর কাছে গিয়ে কবি হওয়া আর সমুদ্রের কাছে গেলে মৃতবস্তু হওয়াকে বিবেচনা করি, তবে নারী ও সমুদ্র এবং কবি হওয়া ও মৃতবস্তু হওয়া - দুটি সমরৈখিক শ্রেণি দাঁড় হয়। সবুজ তাপস নারী ও সমুদ্রের চরিত্র একই সীমারেখায় রেখেছেন। কবি হওয়া আর মৃতবস্তু হওয়াকে একই কিছু বলার পক্ষে যুক্তিও রয়েছে। যুক্তি এই: কবি হওয়া আর সাধারণ মানুষ থাকা এক কথা নয় এবং কবি হওয়াতো সাধারণ মানুষ থেকে রূপান্তরিত কিছু হয়ে যাওয়া। সবুজ তাপস কবি হতে চাননি। তার ভাষায়:
অথচ আমার কবিতা লেখার
ইচ্ছে ছিল না
এভাবে, সমুদ্রের কাছে গিয়ে প্রতারিত হয়ে মৃতবস্তু হতেও তার ইচ্ছে নেই। তার ভাষায়:
তার কাছে যেতে চেয়েছো তো তুমি যাও নিজে
পতেঙ্গার বিচে
আমি যাব না
সে যা-ই হোক, কবিতাটির বিন্যাস খুবই শিল্পিত।
দ্যাখো, যত নারীর কাছে গেলাম, সবাই বিমুখ
হৃদয়ে ছেড়ে দিলো অসুখ,
নিবের চুচুক
থেকে প্রতিরাতে কালি ঝরে,
অথচ আমার কবিতা লেখার
ইচ্ছে ছিল না
না বললে নয়, সবুজ তাপস সমুদ্রকে নারীর উপমান হিসেবে দেখেছেন। এই দেখাতে নতুনত্ব নেই। কারণ, ইতোপূর্বে কোনো কোনো কবি নারীকে নদীর উপমায় উপস্থাপন করেছেন। নদী আর সমুদ্র এক না হলেও বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে খুব কাছাকাছি।

(উল্লেখ্য, অংশটি আকাশ মাহমুদ ও একেএম গোলাম ফেরদৌস সম্পাদিত কালধারার ‘কবিতা ২০০৬’ ও আলী প্রয়াস সম্পাদিত ‘তৃতীয় চোখ’এর ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সংখ্যার পর্যালোচনা থেকে সংকলিত। এই পর্যালোচনায় সবুজ তাপসের কবিতার সাথে ফুয়াদ হাসান, বিনয় সরকার ও সিদ্ধার্থ শংকর ধরের কবিতাও আলোচিত হয়েছে।)

Fabourite Blogs